কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ এক নারীর লুণ্ঠিত মালামাল সহ দুই চোরকে ৫ ঘন্টায় গ্রেফতার
কুমিল্লা প্রতিবেদকঃ রোববার সকালে কুমিল্লার রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ইসলাম হোসেন সিরাজী ফাতেমা বেগম নামের এক নারীর কুমিল্লা স্টেশনে চলস্ত ট্রেন থেকে ব্যান্টি ব্যাগ নগদ টাকা মোবাইল স্বর্ণালংকার লুণ্ঠিত মালামাল সহ দুই চোরকে ৫ ঘন্টায় পর অভিযান চালিয়ে ধর্মপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায় শনিবার রাত ৮.২৫ মিনিটে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফাতেমা বেগম (৫০) নামের এক নারী তার সঙ্গীয় নাতি তম্ময় (১২) নিয়ে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেন নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশ্য। ট্রেনে উঠে ফাতেমা বেগম ও তার নাতি ট্রেনের ১নং সিটে বসে অার ২নং সিটে ভ্যান্টি ব্যাগ রাখে। এ সময ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে দেয়। ট্রেন স্টেশন এলাকায় চলন্ত অবস্থায় এক জন অঞ্জাত ব্যাক্তি লাল চাদার পরিহিত অবস্থায় ফাতেমা বেগমের ভ্যান্টি ব্যাগ নিয়ে নেমে যায় এবং দ্রুত কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে চলে যায়। পর্বতীতে ফাতেমা বেগম রাতে কুমিল্লা লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এঘটনায় কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ইসলাম হোসেন সিরাজীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগরীর ধর্মপুর উত্তর পাড়ায় অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় দুই জন গ্রেফতার করে। পরে দুই চোরকে জিজ্ঞেস করলে তারা চুরি বা ব্যাগ লুন্ঠনের কথা স্বীকার করেন। গ্রেফতার কৃতরা হলো মহানগরীর উত্তর ধর্মপুেরের মৃত অাব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে অাব্দুল্লাহ (২৮) ও একই এলাকার জামাল হোসেন এর ছেলে মোঃ মামুন মিয়া। কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ইসলাম হোসেন সিরাজী জানান ভিকটিম ফাতেমা বেগম এর ব্যাগে নগদ ১০ হাজার ৩শত টাকা,৪ টি স্বর্নের অাংকটি মূল্য ৪০ হাজার টাকা, কানের দুটো দুল মূল্য ১৮ হাজার টাকা, দুটো মোবাইল ফোন মূল্য ২০ হাজার টাকা। সর্ব মোট লুণ্ঠিত মালামাল হল ৮৮ হাজার ৩শত টাকা। মামলা দায়ের করার ৫ ঘন্টায় মধ্যে অভিযান চালিয়ে দুই চোর কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি অারো জানান গ্রেফতার কৃত চোর এরা এলাকায় চোর চিনতাইকারি হিসেবে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক সহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। রোববার বিকালে কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ গ্রেফতার কৃত চোরদেরকে কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করেন।