পাথরঘাটা ৯৫ বছরের দম্পতিকে মারধর
এসএম জসিম,পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিবেদকঃ বরগুনার পাথরঘাটায় ৯৫ বছরের বৃদ্ধ দম্পতির ঘর ভেঙ্গে জমি দখল করে নিয়ে যাওয়ার আভিযোগ উঠেছে তারই ছোট ভাই নুরু হোসেনের বিরুদ্ধে। এঘটনায় বাঁধা দিলে বড় বোন আম্বিয়া বেগম (৭০) ও দুলাভাই ইম্মত আলীকে (৯৫) মারধরেরও অভিযোগ উঠে। এমন অভিযোগ এনে আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। আহতরা হলো, ইম্মত আলী (৯৫), তার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম (৭০)। তাদের পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎা চলছে। অভিযুক্ত নুর হোসেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের গহরপুর ইউনিয়নের দেনছেন আলী হাওলাদারের ছেলে। লিখিত অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার দুপুরে পাথরঘাটা হাসপাতালের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে দেয়। এসমযয় বাধা দিলে আমার বৃদ্ধ মা-বাবাকে মারধর করে। আমার মায়ের অবস্থা গুরুতর। তিনি বর্তমানে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্য ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। স্থানীয় নুরুল ইসলাম ও খলিল পহলান জানান, দীর্ঘদিন ধরে আম্বিয়া বেগম তার বাবার জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘর তুলে তার ছেলে মেয়েদের নিয়ে বসবাস করে আসছিল। হঠাৎ গত বুধবার নুরু হোসেন পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে দেয়। এ সময় তারা বাধা দিলে মারধর করে। পরবর্তীতে গত শুক্রবার ভোররাতে নুর হোসেন সেই জমিতে ভায়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে নতুন ঘর তুলে জায়গা দখল করে নেয়। এদিকে ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সময় আম্বিয়া বেগম ঘরের চালার উপরে উঠে ঘর সরিয় দিতে বাধা প্রদান করে। সেই চালার উপরে অবস্থান করা অবস্থায় টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে ফেলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান রোকন জানান, জমিজমা নিয়ে দুই ভাইবোনের মধ্যে দীর্ঘদিন ঝামেলা চলছিল। তবে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। যখন সালিশ বৈঠকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রদান করবেন সেই সময়ে নূর হোসেন উকিল নোটিশ দিয়ে সবকিছু থামিয়ে দেয়। এরকম দুবারের উকিল নোটিশ পেয়েছেন বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ইম্মত আলী জানান, আমাদের ঘর ভেঙে উল্টো আমাদের নামে মামলা করে হয়রানি করছে নুর হোসেন। তাছারা আমি গরিব হওয়ার সুযোগে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে, আমি এর বিচার চাই। অভিযুক্ত নূর হোসেন তার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, ওখানে কোন রকমের মাধরের ঘটনা ঘটেনি। এগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার জমিতে নিজের টাকায় আমি নিজেই ঘর তুলেছি। এবিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দিন জানান, ঘটনার সাথে সাথেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে এবং শালিস মিমাংসার জন্য বলা হয়েছে। তাদের দুই পক্ষের সম্মতিতেই ঘরটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে, সেখানে দারোগা কালাম উপস্থিত ছিলো তবে মারধরের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।