তিতাসে বিনা অনুমতিতে সরকারি রাস্তা কেটে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি
হালিম সৈকত: কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের দড়িমাছিমপুর গ্রামে অবৈধভাবে সরকারি সড়ক কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দড়িমাছিমপুর কবরস্থানের কিছুটা উত্তর পূর্ব দিকে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত রাস্তা কেটে মাটি গুলো সরিয়ে নেন একই গ্রামের মোঃ জালাল মোল্লা। প্রায় ৪০ ফুটের মতো রাস্তা তিনি সরকারি অনুমতি ছাড়াই কেটে ফেলেন। দড়িমাছিমপুর গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তাটি ২০ বছর আগের রাস্তা। সরকারি রাস্তা কাটার অধিকার তো কারো নেই। তিনি রাস্তা কেটে পশ্চিম দিকে সরাতে চান। ২০ বছর আগে তিনি কোথায় ছিলেন? এত বছর পরে এসে তিনি রাস্তার পজিশন সরাতে চাইছেন কেন? রাস্তা যেভাবে আছে ঠিক সেভাবেই থাকুক। দড়িকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আশেক আলীর স্ত্রী বলেন, আমার ৩ টি গাছ কেটে ফেলেছে। আমার বাড়িতে পুরুষ মানুষ কেউ নেই। প্রতিবাদ করবে কে? জালাল মোল্লা সাহেবের নাকি পুরো রাস্তাটি তার জায়গায় পরেছে, তাই তিনি রাস্তা পশ্চিম পাশে বাড়াতে চান। আমরা মাটি ভরাট করে বাড়ি করেছি এখন রাস্তা উনি আমাদের বাড়ির ভিতরে দিয়ে আনতে চান। এই বিষয়ে ৫ নং কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, সরকারি রাস্তা কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিয়ে কাটতে হয়। জালাল মোল্লা ইউএনও দূরে থাক চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বারেরও কোন অনুমতি নেন নি। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি, তিনি অনুমতি ব্যতিরেকে রাস্তা কেটে অপরাধ করেছেন বলে আমি মনে করি। এই বিষয়ে জালাল মোল্লা বলেন, রাস্তার সামান্য অংশ কেটেছি সত্য। তবে আমি আমার জায়গার মাটি সরিয়েছি। পুরো রাস্তাটি আমার জায়গায় পড়েছে। রাস্তা রিপেয়ারিং কাজ এসেছে , কাজ চলুক সমস্যা নাই। ২ ফুট পশ্চিমে গেলে রাস্তাটি অন্যান্য দিকগুলোর মত সোজা হবে। তাই আমি বলেছি ২ ফুট পশ্চিমে নিতে। আমি আমার জায়গার মাটি কেটেছি গাছ লাগানোর জন্য। আগেও কয়েকটি গাছ লাগিয়েছিলাম। এখন আবার লাগানোর জন্য মাটি আলগা করেছি। সমস্যা নাই মাটি লাগলে নিবে। রাস্তার জায়গা দিতে আমার কোন আপত্তি নাই। এলাকার সাধারণ জনগণ বলেন, সড়কটি হওয়ার পর তারা ভালোভাবে চলাচল করতে পারতেন। এখন সড়কটি কেটে ফেলায় বাড়ি পর্যন্ত রিকশা আসতে সমস্যা হয়।। আরেক প্রতিবেশী বলেন, রাস্তাটি কেটে ফেলায় স্থানীয় লোকজন বাধা দিলেও রাস্তা কাটা বন্ধ না করে উল্টো এলাকাবাসীকে হুমকি দেন জালাল মোল্লা। গ্রামবাসি তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং রাস্তাটি যেভাবে আছে ঠিক যেন সেভাবেই রিপেয়ারিং করা হয় তার দাবি জানান।