প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকের ভাতার টাকা মেম্বারের পকেটে
মোঃ অলি উল্লাহ ভূঁইয়া, বাঙ্গর বাজার প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার মুরাদনগরে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধীর ছেলে হাবিব বিষয়টির সুরাহা চেয়ে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত সাইদুর রহমান উপজেলার ১২নম্বর রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও তেমুরিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। তেমুরিয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী রহম আলীর ছেলে হাবিব বলেন, ‘আমার বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সংসারে আমার মা, দুই ভাই ও এক বোন প্রতিবন্ধী বাবার ওপর নির্ভরশীল। আমরা দিনে ২/১ বেলা খেয়ে কোনো রকম বেঁচে আছি। সহায়তার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি আমার বাবাকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেন। সরকারের দেওয়া ভাতার টাকা জুলাই/১৯ থেকে জুন/২০ পর্যন্ত এক বছরের ৯ হাজার টাকা ভুয়া টিপসই দিয়ে তুলে নিয়েছে সাইদুর রহমান মেম্বার। তিনি গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভাতার বইটি আমার কাছে দিয়ে বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি জনতা ব্যাংকের রামচন্দ্রপুর শাখা থেকে টাকা তোলার জন্য। ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি বিগত এক বছরের টাকা তোলা হয়ে গেছে। পরে মেম্বারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সমাজ সেবা অফিসের লোক টাকা তুলে নিয়ে গেছে। যা হবার হয়ে গেছে। এখন তোমরা নিজেরাই টাকা তোলবা।’ সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কিছুই জানেন না বলে চলে যেতে বলেন। তাই এখন নিরূপায় টাকা পাওয়ার আশায় বড় স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’ অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, ‘সমাজ সেবা অফিসের সাহেব আলী প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডটি আমার হাতে দেন। আমি প্রতিবন্ধী রহম আলীর ছেলে হাবিবের কাছে কার্ডটি বুঝিয়ে দেই।’ গত এক বছরের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে এমন প্রশ্নে মেম্বার সাইদুর রহমান মোবাইলে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা কবির আহামেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে এ বিষয়ে কথা বলব।’ মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে ব্যবস্থা নিব।