বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের পুত্র আনভীরের রক্ষিতার রহস্যজনক মৃত্যু
কুমিল্লা টাইমস বিশেষ রিপোর্ট: বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার মালিক শাহ আলমের ছেলে ও বসুন্ধরা গ্ৰুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ সোবহান আনভীরের বান্ধবী বা রক্ষিতা হিসেবে পরিচিত মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গুলশান ২ এর রোড নাম্বার# ১২০, বাড়ি নাম্বার# ১৯, ফ্ল্যাট বি-৩ তে দুই মাস পূর্বে এক লক্ষ টাকায় ভাড়া নিয়েছিলেন আহমেদ সোবহান আনভীর। আরও জানা যায় আহমেদ সোবহান আনভীর উক্ত বাসার ভাড়া দিতেন এবং মাঝে মাঝে উক্ত বাসায় আসা যাওয়া করতেন।বাসটিতে মুনিয়া একাই থাকতো। পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, বাসাটির বাড়িওয়ালার কাছ থেকে পাওয়া চুক্তিপত্র অনুযায়ী ফ্ল্যাটটি মার্চ মাসের ১ তারিখে ভাড়া নেন মুনিয়া। তিনি আরও জানান, চুক্তিপত্র অনুযায়ী অগ্রিম ২ লাখ টাকা দিয়ে প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে ওই বাসায় একাই থাকতেন কলেজ ছাত্রী। মোসারাত জাহান মুনিয়া রোববার তার বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে বোনের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে বাইরে থেকে ‘লক’ খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে অবহিত করেন।
গুলশান থানা পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে আটটায় তারা ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং লাশ এর সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। থানা কর্তৃক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
পুলিশ আরও জানায়, শিল্পপতির ওই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের অভিযোগ করেছেন মুনিয়ার বড় বোন। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া একটি ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে মনোমালিন্য আরও ঘনীভূত হয়। তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার পর সোমবার রাত দেড়টার দিকে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান। মামলা করে থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।