বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ সূচনা দেবীদ্বার’র প্রতিটি বাড়ি হবে এক একটি অক্সিজেন ফ্যাক্টরী

Spread the love

এবিএম আতিকুর রহমান বাশারঃ দেবীদ্বারে আগামী প্রজন্মকে সবুজ শ্যামলে ভরা একটি সুন্দর ও বাসযোগ্য দেবীদ্বার উপহার দেয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক প্রবাসী ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারের সহযোগিতায় ইউনিয়ন ভিত্তিক বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসূচির শুভ উদ্ভোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে (১১জুন/’২১খ্রিঃ) দেবীদ্বার উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের বাকসার গ্রামে ‘ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ২টি করে ফলজ ও ২টি করে বনজ বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হয়। এর আগে সকাল ১০টায় রাজামেহার ইউনিয়নে এবং সকাল ১১টায় গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নে‘ পদ্মকোট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের’ সামনে একই নিয়মে বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হয়।

আজ ছিল সপ্তাহ ব্যাপী বৃক্ষের চারা বিতরণের উদ্ভোধনী দিন। পর্যায় ক্রমে একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে ৫ হাজার দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ওই চারা বিতরণ করা হবে। এ কর্মসূচীর আওতায় জীববৈত্র ও পরিবেশ রক্ষায় যেমন ভূমিকা রাখবে তেমনি ফলজগাছগুলো পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অর্থ উপার্জনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

শুক্রবার বিকাল ৪টায় আমেরিকা প্রবাসী মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত করোনা যোদ্ধা ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার’র নিজ গ্রামের বাড়ি বাকসারে প্রতিষ্ঠিত ‘ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে আয়োজিত বৃক্ষ চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে ‘ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশন’র ট্রেজারার ছিদ্দিকুর রহমান’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রকৌশলী গাজী রাসেল বীন সালাম, নারী নেত্রী শাহিনূর লিপি, আয়শা আলী মুক্তা, শামিমা আক্তার রীমা, নারী উদ্যোক্তা মীতা চৌধূরী, নূরুন্নাহার আক্তার, আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, রাজন ভূঁইয়া, মো. মিজানুর রহমান, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. রাসেল, শামিম সরকার প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মূল ভূখন্ডের কমপক্ষে ২৫ ভাগ বন থাকা দরকার। আমাদের দেশে সে পরিমান বনায়ন না থাকলেও যেটুকু আছে তাও নির্বিচারে ধ্বংস করে যাচ্ছি। মানুষ তার প্রয়োজনে প্রচুর গাছ কাটছে এবং বন উজাড় করছে। প্রকৃতি ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। সভ্যতা ও উন্নয়নের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কল কারখানা। রাস্তার যানবাহনের চলাচল কারখানার গাড়ির ধোঁয়ায় বাতাসে বাতাসে বাড়ছে কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ। ক্ষয় হচ্ছে বাতাসের ওজোন স্তর, সৃষ্টি হচ্ছে গ্রীন হাউস এফেক্ট। দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি এই সব ঘটছে বাতাসে অক্সিজেনের অভাবের কারণে। তাই পরিবেশ ভারসম্য রক্ষায় ডাঃ ফেরদৌস খন্দকারের ‘প্রতিটি বাড়ি হবে এক একটি অক্সিজেন ফ্যাক্টরী’ এ মহত উদ্যোগটি আজ সময়োাপযোগী।

কারন বৃক্ষই জীবন, মানব জীবনের প্রতিটি অংশে বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য। বৃক্ষ অক্সিজেন দেয় কার্বন ড্রাই অক্সাইড গ্রহণ করে। বৃক্ষ খাদ্য দেয়, বৃক্ষ কাঠ দেয়, মাটির ক্ষয়রোধ করে, সর্বপরি বৃক্ষ পরিবেশকে সজীব রাখে। বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য।

বৃক্ষরোপণের মধ্যদিয়ে মনে হচ্ছে আমরা ব্যাংকে টাকা জমা না রেখে মাটিতে একটা গাছের চারা জমা রাখছি যা পরবর্তীতে পরিবেশকে রক্ষা করবে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করবে, গাছটি বড় হলে ছায়া দিবে, ফল দিবে এবং বিপদের সময় আর্থিক সহযোগিতা করবে। তাই সকলে আসুন বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নিজেদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *