মতলব উত্তরে ৮ মাসের আন্ত:সত্ত্বা মৃুত্যু নিয়ে রহস্য জান্নাতি যৌতকের জন্য বলি হয়েছে বল্লেন মা
মোহাম্মদ বিপ্লব সরকার :মতলব উত্তরে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জান্নাতি (২০) আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। হত্যা না আত্ম হত্যা তা নিয়ে রয়েছে নানা মত। উপজেলার ১০নং পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়নাধীন শাহবাজকান্দি রসুলপুর গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা জান্নাতির এ ঘটনা ঘটেছে ১৩ জুন রবিবার বেলা ৪টার সময় । সাহাবাজ কান্দি গ্রামের কামরুল ইসলাম মীরেরর ছেলে সুজন মীরের স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জান্নাতি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাস দিয়েছে বলে জানায় সুজনের পরিবার। অপরদিকে জান্নাতির মা বলেন, আমার মেয়ে হত্যা হয়েছে না আত্মহত্যা করেছে তা আমার পরিবারকে কেউ জানায়নি। অন্য লোক মারফত খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখি পুলিশ আমার জান্নাতির লাশ নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর থেকেই সুজন ও তার মা (জান্নাতির শাশুরী) জান্নাতিকে যৌতুকের জন্য বার বার চাপ প্রয়োগ করতো। এ নিয়ে কয়েক বার ঘরোয়া ভাবে শালিসি হয়েছে। ১০ জুন সাড়ে ৩ টার সময়ও সুজন ঢাকা থেকে ফোন করে আন্ত: সত্ত্বা জান্নাতির সিজার করতে হবে বলে আগাম প্রস্তুুতির জন্য ৫০ হাজার টাকা চায়।বিয়ের সময় কানের জিনিস দেওয়ার কথা ছিল সেই জিনিসও চায়। আমি দিতে না পারায় তারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আর না হয় জান্নাতিকে মানুষিকভাবে অনেক আঘাত করেছে, যা সহ্য করতে না পেরে অভিমানে আত্মাহত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। তবে জান্নাতির শাশুড়ী শিউলী বেগম জানান আমি পাশের বাড়িতে ছিলাম, বাড়িতে এসে দেখি দোচালা ঘরের দরজা জানালা বন্ধ, তার পর দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর ঢুকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখি। তার পর আমার দেবর এসে ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে ফেলে। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তবে কি জন্য আত্নহত্যা করেছে তা আমি জানিনা। মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. মাসুদ বলেন, পোস্ট মর্টেম করার জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। রিপোর্ট পেলে সত্যিটা জানা যাবে।