মতলব উত্তরের মোহনপুরকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে প্রেস বিফ্রিং
মতলব উত্তর প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন করে ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ঘটনা নিয়ে প্রেস ব্রিফিং (সংবাদ সম্মেলন) করেছেন মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সোমবার (২৮ জুন) বিকালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধান। এসময় আব্দুল হাই প্রধান বলেন, গত ২৬ জুন শনিবার বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভার নেতৃত্বে দশানী ও বাহাদুরপুর থেকে পাঁচ শতাধিক ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে মোহনপুরে সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বাড়িতে আসার পথে মিছিল সহকারে মোহনপুর পর্যটন লিঃ এর সামনে এসে ককটেল বিস্ফোরণ করে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পথচারী আহত হয়। তাৎক্ষণিক মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল পুলিশ ফোর্স নিয়ে এসে ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এবং ধাওয়া দিয়ে তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় পুরো মোহনপুরবাসী আতংকিত হয়ে পড়েন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা জানেন গত ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং তারিখে সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পুত্র দিপু চৌধুরী ও তার সঙ্গী-সাথীরা মোহনপুর লঞ্চঘাটের সাথে মোহনপুর পর্যটন মার্কেটে অতর্কিত গুলি বর্ষণ করেন। মতলব উত্তর থানা পুলিশ এসে গুলির খোসা উদ্ধার করেন এবং জব্দ করেন। পরে মোহনপুর পর্যটনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, গত আড়াই বছর যাবৎ মায়া চৌধুরী যখনই মোহনপুরের মাটিতে এসেছেন বা পর্দাপণ করেছেন তখনই তার সন্ত্রাসী বাহিনী এসে মোহনপুরের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ চালায় এবং নিজ উদ্যোগে গড়ে ওঠা মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এ হামলা চালায় তাদের দখলে নেওয়ার জন্য। আব্দুর হাই আরও বলেন, প্রায় ৩৩ বছর বছর পূর্বে নাসিরা কান্দি ইউনিয়ন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পরে মায়া চৌধুরীরা নদীর পূর্ব পাড়ে মোহনপুর ইউনিয়নে এসে আশ্রয় গ্রহন করেন। তখন থেকে অদ্যবধি উনারা মোহনপুরের শান্তিপ্রিয় জনগণকে ভয় ভীতি ও মারধর করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন ও তাদের অত্যাচার জুলুমের মাত্রা এত বেশি যে মোহনপুরের মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। গত ৩০ বছরের মধ্যে মায়া চৌধুরী দুই বার এমপি মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু মোহনপুর এলাকার কোন উন্নয়ন মূলক কাজ করেননি। তবে একটি কলেজ করেছেন যা সরকারি জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে। কলেজটির নাম আলী আহম্মদ মিয়া বহুমূখী মহাবিদ্যালয়। আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাই বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে মোহনপুরের কিছু দেশ প্রেমিক জনগণ নিজেদের উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক মানের একটি পর্যটন নগরী গড়ে তুলেছেন। ইত্যোমধ্যে দেশ বিদেশ সুপরিচিতি রয়েছে। যার প্রেক্ষিতে মায়া চৌধুরী এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী ঈর্ষাšি^ত হয়ে মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডকে ধ্বংস করতে চান। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এ বিষয়ে মানবতার মা জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও মহিলা আওয়ামীলীগসহ সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে একটাই আবেদন, এই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মোহনপুরের সর্বস্তরের জনগণকে রক্ষা করার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। এসময় মতলব উত্তর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য রাধেশ্যাম শাহা চান্দু, উপজেলা যুবলীগের সদস্য কাজী হাবিবুর রহমান, মোহনপুর ইউপি আ.লীগ নেতা ফজলুল হক সরকার, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি এবাদুল হক মৃধা, আওয়ামীলীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মৃধা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল তপদার, সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয়, মোহনপুর ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভানেত্রী লাভলী বেগম, সাধারণ সম্পাদিকা মানছুরা হাওলাদারসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।