পাগলের ছদ্মবেশে ১৬ ভারতীয় গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদেকঃ পদ্মা সেতু এলাকায় পাগলের ছদ্মবেশে ১৬ ভারতীয় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স’ন্দেহ’জনকভাবে ঘোরাফেরা করার অ’ভিযোগে শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শি’বচর থা’না-পু’লিশ তাঁদের গ্রে’প্তার করে। এ ব্যাপারে ১৩টি মা’মলাও হয়েছে।
পু’লিশ কর্মক’র্তারা জানিয়েছেন, গ্রে’প্তার ব্যক্তিদের বেশির ভাগই পাগলের মতো আচরণ করেছেন। তাঁদের কয়েকজন নিজের নাম-পরিচয়ও বলেননি। গ্রে’প্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর অ’বৈধ অনুপ্রবেশের অ’ভিযোগে মা’মলা করে তাঁদের আ’দালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা ১১টি মা’মলায় শরীয়তপুর জে’লা-পু’লিশ অ’ভিযোগপত্র দিয়েছে। শরীয়তপুরের জাজিরা থা’নার পু’লিশ জানিয়েছে, জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা গত ২৭ জুলাই লালু নামের এক ভা’রতীয় নারীকে গ্রে’প্তার করেন। তার আগে ২৫ জুন গ্রে’প্তার করা হয় রূপসা রায় দিপককে। ২৩ জুন রাতে বিজলি কুমা’র রায় নামে আরেকজনকে গ্রে’প্তার করা হয়। জাজিরা থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৭ সাল থেকে জাজিরা থা’নার পদ্মা সেতু এলাকা থেকে ১৫ জন ভা’রতীয়কে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে কোনো ভিসা কিংবা পাসপোর্ট পাওয়া যায়নি। অ’বৈধভাবে তাঁরা এ দেশে প্রবেশ করেছিলেন। ২০২০ সালের ৬ মা’র্চ পদ্মা সেতু এলাকা থেকে গ্রে’প্তার হন ভা’রতীয় নাগরিক প্রমথ কুমা’র চঞ্চল ও সঞ্জয় সেন। মাদারীপুরের শি’বচর থা’নার ওসি মিরাজ হোসেন বলেন, সম্প্রতি গৌরী নামে এক ভা’রতীয় নাগরিককে পদ্মা সেতুর কাঁঠালবাড়ি এলাকা থেকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভা’রতের একটি ঠিকানা দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে। গ্রে’প্তার হওয়া নারী ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন বলে তিনি মনে করেন। এসব লোকজন কেন পদ্মা সেতু এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন, তার কোনো কারণ জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।