নবীপুর হেলাল হত্যার রহস্য উদঘাটন
আবুল কালাম আজাদ ভূইয়াঃ হেলাল হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনের মধ্যে ৫জন আটক হয়েছে। তাদের মধ্যে ২জন আদালতে ৬৪ দ্বারা জবানবন্দিতে হত্যার রহস্য উন্মোচন করে দায় ভার স্বীকার করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ওসি সাদেকুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, নিহত হেলাল ও আরিফ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। সেই সুবাদে হেলাল প্রায় আরিফের বাড়িতে রাত্রি যাপন করতো। আরিফের অজান্তে তার মায়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে হেলালের। প্রায় দু’মাস আগে হেলালকে তার মায়ের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে আরিফ। এর পর থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু শত্রæতে রূপ নেয়। গত মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে হেলালসহ আরো ৫জন বন্ধুকে নিয়ে নেশা করার উদ্দেশ্যে নবীপুর মেসার্স নিউ থ্রি স্টার ব্রিকস্ ফিল্ডে যায় আরিফ। নেশায় বুদ হওয়ার পর পকেটে থাকা খুর দিয়ে হেলালের গলায় পুচ মারে আরিফ। মাটিতে শুয়ে পরলে সাথে থাকা বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে হেলালের লিঙ্গ কেটে ফেলে আরিফ। পরে লাশ ডুবায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা। ঘটনার সাথে জড়িত আটককৃতরা হলেন, জয়নাল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (২৪), আলী আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (২৫), হিরন মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২২), হারুন মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২১) ও আবু তাহেরের ছেলে এরশাদ (২৯)। তবে ঘটনার মূল নায়ক কালাম মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া (২২) এখনো পলাতক। তারা সবাই উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে উপজেলার নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কের নিউ থ্রি স্টার ব্রিকস্ ফিল্ডের পাশের ডোবা থেকে উপজেলার রহিমপুর গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন (২১) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে পেশায় একজন সিএনজি চালক ছিলো।