মুরাদনগরে নৌকা পাওয়া প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ
মুরাদনগর প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার মুরাদনগরে নৌকা প্রতীক পাওয়া এক প্রার্থীকে খন্দকার কর্নেল রশিদের আত্মীয় বানিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৯ নং দারোরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল উদ্দিন খন্দকার মুরাদনগর প্রেসক্লাবে এসে এ অভিযোগ করেন। উপজেলা আওয়ামী কৃষকলীগের আহবায়ক ও নৌকার প্রার্থী কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, ষষ্ঠ ধাপে ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহনের জন্য দল আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই একটি পক্ষ ইর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখ জনক। আমি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ করার ফলে উপজেলা আওয়ামী কৃষকলীগের আহবায়ক নির্বাচিত হয়েছি। এতোদিন আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর ও মাঠে আমার জনপ্রিয়তা দেখে একটি মহলের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছি আমি।
দারোরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রৌশন আলী বলেন, একটি কুচক্রি মহল আমার নাম ব্যবহার করে মিথ্যা ও বানোয়াট উরো চিঠি বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেয়ে আমি মুরাদনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। কামাল উদ্দিন খন্দকার আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামাতের একটি চক্র এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
জানা যায়, ষষ্ঠ ধাপে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩১শে জানুয়ারি এই উপজেলায় ভোট গ্রহনের কথা রয়েছে। দারোরা ইউনিয়ন থেকে ছয় জন নৌকা প্রত্যাশি থাকলেও পহেলা জানুয়ারি রাতে নৌকা প্রতীক পায় কামাল উদ্দিন খন্দকার। গত দু’মাস যাবত নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি হয়ে সকলেই ভোটারদেরকে নিয়ে উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করলেও কারো বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রকার অভিযোগের তীর ছুড়ে নাই। প্রতীক পাওয়ার পরদিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর এমন মিথ্যা অভিযোগ সত্যিই বিব্রতকর। কারণ চুল ছেড়া বিশ্লেষন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের ও দলীয় ত্যাগী কর্মীর নামই কেন্দ্রে পাঠিয়েছি আমরা। এখানে অপপ্রচার করে ফয়দা নেয়ার কোন সুযোগ নেই।