মামলা দিয়ে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি মুরাদনগরে ব্রিটিশ আমলের রাস্তা কাটা অভিযোগ
মো. হাবিবুর রহমানঃ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সুরানন্দী গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ ৩টি নিরীহ পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানিসহ ব্রিটিশ আমলের রাস্তা কেটে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ভূক্তভোগি ওই নিরীহ পরিবার চরম আতংক ও উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত ১৪ মাস পূর্বে সুরানন্দী গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে জয়নাল আবেদীন, আবুল কালাম ও জসিম উদ্দিন দলিল মুলে মালিক ১৭৭১ দাগে সাড়ে ২০ শতক ও ১৭৭২ দাগে ১৬ শতক সম্পত্তি স্থানীয় আমিন আব্দুল মালেক সীমানা নির্ধারণ করে। এতে বাধঁ সাজে পাশের বাড়ির মৃত আলী আজগরের ছেলে আলাউদ্দিন আহমেদ সীমানা মানতে নারাজ। তার ১৫/১৬ দিন পরই আবারো দু’পক্ষের দু’জন আমিন এনে পরিমাপ করলে পূর্বের সীমানাই বহাল থাকে। এতেও সন্তুষ্টি হতে পারেনি আলাউদ্দিন আহমেদ। এর ২৪/২৫ দিন পরই আমিন চুলাশ গ্রামের আব্দুল আলীম, কৃঞ্চপুর গ্রামের রাকিবুল ইসলাম, সুরানন্দী গ্রামের আব্দুল মালেক ও নুরুল ইসলামের উপস্থিতিতে আবারো পরিমাপ করলে পূর্বের মাপ বহাল রেখে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এ সময় আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুর রহমান, হাজী জয়নাল আবেদীন, ইমরান হোসেন মেম্বার, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, ইউনুস মিয়া, দেলোয়ার হোসেন মাস্টার, আব্দুল আজিজ, আব্দুল করিম, ইদ্রিস মিয়া, আবুল কাশেম, চান মিয়া, রমিজ উদ্দিন, তাজুল ইসলাম, নারায়ন চন্দ্র দেবনাথ, আব্দুল লতিফ, জমি দাতা আদম আলীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সর্দার মাতাব্বরগনের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের সম্মতি নিয়ে খুটগাড়ি করে সম্পত্তিটি চুড়ান্ত ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ এক বছর পর কোন প্রকার হট্টগোল ছাড়াই আলাউদ্দিন আহমেদ কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তার প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে একটি হয়রানিমূলক মামলা করে। যার নং পি-আর ৪৬৯/২০, স্বরক নং ৬৬৮/এডিএম, তারিখ ১৫/০৩/২০। মামলা করার কয়েকদিন পরই ওই গ্রামে ব্রিটিশ আমলের একটি রাস্তা কেটে মাটি নিয়ে গেছে। এতে করে ওই এলাকার জনসাধারণের চলাচলে মারাত্বক বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আলাউদ্দিন আহমেদ বর্তমানে ওই নিরীহ তিন পরিবারকে মিথ্যা ফৌজদারী মামলা দিয়ে অহেতুক হয়রানি করার পাঁয়তারা করছে। যার ফলে তারা আলাউদ্দিন আহমেদ কর্তৃক অন্যায় অত্যাচার ও মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মামলার বাদী আলাউদ্দিন আহমেদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে আমতা আমতা করে লাইন কেটে দেন। পরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুস ছামাদ মাঝি বলেন, আমি জানি ওই এলাকার সর্বস্তরের লোকজন বসে বিরোধপূর্ণ ওই জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে। তারপরও নিরীহ পরিবার গুলোকে মামলা দিয়ে হয়রানির বিষয়টি দু:খজনক। আর ব্রিটিশ আমলের রাস্তা কেটে মাটি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে সমাধানের চেষ্টা করব।