নেত্রকোনা সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধিতে বেরি বাঁধ ভাঙ্গার শঙ্কায়
রাজেশ গৌড়,নেত্রকোনা প্রতিবেদক : গত ক’দিনে বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নেত্রকোনা জেলা দুর্গাপুর উপজেলায় সোমেশ্বরী নদীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপদসীমার কিছু নিচে প্রবাহিত হলেও উজানের পাহাড়ি ঢলের গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কালিকাবর বেরীবাঁধ ভাঙ্গার শঙ্কায় ভূগছেন তীরবর্তীর পরিবারের লোকজন। এরই মধ্যে বাঁধটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে বাঁধের নিকটবর্তী প্রায় দুইশতাদিক ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীনের শঙ্কায় ভুগছেন এখানকার বাসিন্দারা। সরেজমিনে ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে, কালিকাবর বেরি বাঁধের ফাটল ধরা জায়গাটি ও আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ি-ঘর পরিদর্শন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।গাঁওকান্দিয়ার কালিকাবর বেধি বাঁধ এলাকার মকিম আলী সরকারের বাড়ি থেকে দক্ষিন দিকে ইব্রাহীম মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত বেরি বাঁধের ১১ শত ফুট সংলগ্ন গড়ে উঠা ঘর-বাড়ির বাসিন্দারা চরম ঝুঁকিতে দিনাতিপাত করছে। ওই বেরি বাঁধের মকিম সরকারের বাড়ির পাশে ঢলের স্রোতের নিচ দিয়ে বিশাল আকারের গর্ত তৈরী হয়েছে। এর উপর থেকে বড় বড় মাটির চাকা দপদপ করে নদীতে ঢলে পড়ছে। এতে করে নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আশপাশের বসতিদের শঙ্কা আর উৎকণ্ঠায় সময় পার করছে বলে জানায় স্থানীয়রা। ওই বেরি বাঁধটি ভেঙে গেলে এলাকার বেশক’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দু’টি হাফিজিয়া মাদ্রাসা, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, গাঁওকান্দিয়া বাজার, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় সহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। অনেক অসহায় পরিবার ভিটে বাড়ি হারানোর তাড়নায় রয়েছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, সোমেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই আমার ইউনিয়নের ৫-৭ কি.মি নদীর তীরে বেড়ি বাঁধের রাস্তাটি ভাঙনের কবলে পড়েছে। প্রায় দুইশতাধিক ঘর-বাড়ির লোকজন চরম ঝুঁকিতে দিনানিপাত করছে যেকোন সময় নদীতে এসব ঘর-বাড়ি ধসে যেতে পারে। বেরি বাঁধ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তার নিজ উদ্যোগে একশত বাঁশ কেটে বাঁধের পাশে জমাট করেছেন। এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে প্রাথমিক বাঁধ রক্ষায় তিনি কাজ করছেন বলেও জানান তিনি । পানি উন্নয়ন বোর্ড নেত্রকোনার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রহিদুল হোসেন খান জানান, কালিকাবর বেরি বাঁধটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে রিপোর্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। অচিরেই পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।